আজ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাতটি মঊ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এদিন হায়দ্রাবাদ হাউসে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে এক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে, যার মধ্যে আছে জল বন্টন, রোহিঙ্গা সমস্যা, সন্ত্রাসবাদ ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা। দুই দেশের মধ্যে অনেক বিষয়ে চুক্তিও হয়।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বিদেশ সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ভারত ওয়াকিবহাল। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। আমরা আর্থিক সহায়তাও দিয়েছি। ভবিষ্যতে যা যা সাহায্য প্রয়োজন, ভারত সরকার তা দেবে। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য ভারত সব ধরনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।
এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি, মহাকাশ ও পারমাণবিক শক্তির মতো ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কুশিয়ারা নদী থেকে পানি বণ্টনের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ৫৪টি নদী প্রবাহিত হয়েছে এবং বহু শতাব্দী ধরে দুই দেশের মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এই নদীগুলি, তাদের সম্পর্কে লোককাহিনী, লোকগান, এছাড়াও আমাদের যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়েছে।
যে সমস্ত মউ স্বাক্ষরিত হলো।
কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনে অন্তর্বর্তীকালীন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি চূড়ান্ত করতে এমওইউ।
বৈজ্ঞানিক সহযোগিতায় ভারতের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) এবং বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (বিসিএসআইআর) মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা সস্মারক।
জাতীয় বিচারবিভাগীয় একাডেমী, ভোপাল এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মউ স্বাক্ষরিত।
রেলপথ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে একটি মউ স্বাক্ষর করেছে যার অধীনে ভারত ভারতীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবে।
বাংলাদেশ রেলওয়েকে আইটি সমাধান প্রদানে সহযোগিতার জন্য উভয় দেশের মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও প্রসার ভারতীর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত।