গুরুগ্রামের একটি গোডাউনে ৩ দিনের অভিযানে ৮,০০০ কেজির নিষিদ্বাধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ফ্লাইং স্কোয়াড তথ্যের ভিত্তিতে ফারুখনগরের ডাবোদা গ্রামের একটি গোডাউনে অভিযান চালায়। নিষিদ্ধ বাজি ক্রয়-বিক্রয়ের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও প্রচুর পরিমাণে আতশবাজি বিক্রি করা হচ্ছিল। মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং গোডাউনটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।
রজত রায়, কলকাতা, রায়া গুপ্তা, শিলিগুড়ি, মানস পাল, হুগলিঃ একদিকে হাইকোর্ট ও সুপ্রীম কোর্টের আদেশ, অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, নিষিদ্ধ বাজি প্রস্তুতকারী, পাচারকারী ও ব্যবহারকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তাই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বে-আইনি বাজির বিরুদ্ধে কড়া পুলিশি অভিযান। বেআইনি শব্দবাজি মজুদ এবং বিক্রি করা আইনত অপরাধ এ বিষয়ে জনসচেতনতা গড়তে বাজি বিক্রেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশ।
প্রথমে হাওড়ায় আটক করা হয় ২ ট্রাক ভর্তি নিষিদ্ধ
আতসবাজি। গতকাল শিলিগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক নিষিদ্ধ আতশবাজীর বিক্রেতাকে। আজ
মালদার পোদ্দারপাড়া এলাকা থেকে ভবেশ ঘোষ(৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ
আতশবাজি মজুত ও বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। । পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত্রে নিজের বাড়িতে নিষিদ্ধ
আতশবাজি মজুত করে গোপনে ব্যাবসা চালাচ্ছিল ভবেশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। আটক
করা হয় প্রায় ৬০ হাজার টাকার নিষিদ্ধ আতশবাজি।
অন্যদিকে হুগলির চন্দননগরসহ
জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চলছে নাকা তল্লাশি। নিষিদ্ধ বাজি মজুতকারী ও যারা বাজি ফাটাচ্ছে,
তাদের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চলছে কড়া নজরদারী। তবে, এসব সত্বেও, হুগলির
তারকেশ্বর থেকে এখনো ওপর মহলে অভিযোগ আসছে নিষিদ্ধ ও কানে তালা ধরানো ‘গাছ বম’ নামক
বাজি ফাটানোর। অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু গ্রামীন থানা এলাকার বাড়িতে তৈরি হচ্ছে
গাছ বম। এই নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারে পুলিশ এখনো সতর্ক না হলে পাশকুড়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে
বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন, চাঁপাডাঙ্গা, তারকেশ্বর, হরিপাল থেকে।