পুলিশ জানায়, ধৃত চার জন ওই নাবালিকার সঙ্গে অশালীন আচরণ করার পর তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে, কিন্তু মেয়েটি ক্রমাগত বাধা দিতে থাকলে, ধস্তা-ধস্তিতে মেয়েট জলে পড়ে যায়। তবে, অনেকের মত, জলে পড়ে মৃত্যু হয়, না জলে ডুবিয়ে মারা হয়, সেটা পরিষ্কার নয়, অন্ততঃ পুলিশের কথায়। তবে, পুলিশ জানায়, মেয়েটি সাঁতার না জানায় জলে ডুবে মারা যায়।
জানা গেছে, ওই চার জনের একজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই নাবালিকার। তার সঙ্গে দেখা করতেই নিজের গ্রাম থেকে শ্রীহট্টের যায় মেয়েটি। সেখানে তার প্রেমিক তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। মেয়েটি রাজী না হওয়ায় ওই ছেলেটি আরো তিন কিশোর বন্ধুকে ডেকে আনে। এদের মধ্যে দু জন ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করতে যায় বলে পুলিশের মত।
রবিবার রাতে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে একটি দল নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে দোষীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
সোমবার ভোরে হরিপালের খাজুরিয়া থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন ৩০২ ধারা ও পকসো আইনের পকসো ৮&১২,৩৭৬& ৫/১১,৩৬৩ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
যে চার জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, তাদের মধ্যে একজন ওই নাবালিকার আত্মীয়। বাকি তিনজনের বয়স বেশি নয়। এদিকে, এই গ্রেপ্তারের ঘটনায় গ্রামবাসীদের একটা অংশ যেমন খুশি, অন্যদিকে আর একটি অংশ মনে করছে, আগে থেকে পুলিশ সক্রিয় হলে অনেক কিছু আটকানো যেত।