বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ট্রলারডুবি ঘটনায় তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন হলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন ফারুক বিন আব্দুল্লাহ। বাকি দুজনের মরদেহ এখনো আমাদের হাতে এসে পৌছেনি। এছাড়া গতকাল জীবন উদ্ধারদের মধ্যে ১১ জন আহত ছিলেন। তাদের মধ্যে ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলেও ১ জনের অবস্থা গুরুতর ছিল। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তিনি বলেন, ‘কর্ণফুলীতে জাহাজডুবির ঘটনায় ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার হলেও বঙ্গোপসাগরে জাহাজডুবির ঘটনায় কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। আমাদের জাহাজ ‘অপূর্ব বাংলা’র মাধ্যমে তলিয়ে যাওয়া জাহাজ ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করছে কোস্টগার্ড।’
এর আগে মঙ্গলবার রাত দেড়টায় কর্ণফুলীর ইছানগরে সি রিসোর্স কোম্পানির জেটি এলাকায় ডগইয়ার্ডে উঠানোর সময় বয়ার সাথে ধাক্কা লেগে একটি মাছ ধরার জাহাজ ডুবে যায়। জাহাজে থাকা ২১ জনের মধ্যে ১৪ জনজে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ক্যাপ্টেনসহ ৭ জন নিখোঁজ থাকেন। বুধবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।
গতরাতে সদরঘাট নৌ থানার ওসি মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, রাত দেড়টার দিকে জাহাজটি মেরামতের জন্য ডক ইয়ার্ডে তুলতেছিল। এসময় বয়ার সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। জাহাজে দুইজন বাহিরের লোকসহ মোট ২১ জন ছিলেন। জাহাজটি উল্টে যাওয়ার সময় ১৪ জন লাফ দিলেও ৭ জন জাহাজেই ছিল, তারা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ড আজ সারাদিন উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে। এমনকি জাহাজটির মালিক কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকে অতিরিক্ত ডুবিরিও নিয়ে এসেছে।
প্রতীকি ছবি