নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলিঃ রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বে-আইনি বাজির বিরুদ্ধে কড়া পুলিশি অভিযান। বিভিন্ন থানা এলাকায় চলছে নিষিদ্ধ বাজি নিয়ে প্রচারাভি্যান। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা, শিলিগুড়ি, মালদা, বীরভূমের পর চন্দননগর সিটি পুলিশে ও হুগলি গ্রামীন পুলিশ নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে। দিন দুই আগে আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মন্ডল এর নেতৃত্বে খানাকুল থানা এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। এই তল্লাশি অভিযানে পুলিশ প্রায় ২০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি আটক করে। গ্রেপ্তার করা হয় কয়েকজনকে।
এবার হুগলি গ্রামীণ পুলিশ ও চন্দননগর সিটি পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০০ কেজির মতো নিষিদ্ধ বাজি। চন্দননগর পুলিশ এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ৮ জন এবং হুগলি গ্রামীণ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ৫ জন। ভারতীয় দণ্ডবিধি ও ডব্লিউবি ফায়ার সার্ভিস আইনের নির্দিষ্ট ধারায় ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হুগলির চণ্ডীতলা বেগমপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় হুগলি গ্রামীণ পুলিশের একটি বিশেষ দল। সেখান থেকে প্রায় ২২৮ কেজি বেআইনি বাজি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় গায়েন ও বিশ্বনাথ মাল নামে দু’জন ব্যক্তিকে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চলছে।
তবে, তারকেশ্বরের পরিবেশপ্রেমীরা অভিযোগ জানিয়েছেন, শহরের বেশ কিছু জায়গায় প্রকাশ্যে এবং বেশ কয়েকটি দোকানে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি হচ্ছে এবং প্রকাশ্যে তা ফাটানোও হচ্ছে। তারা, এ বিষয়ে হুগলি গ্রামীন পুলিশের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছেন বিষয়টা দেখার জন্য।
এ বিষয়ে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত সুপার লাল্টু হালদার জানিয়েছেন, ‘চণ্ডীতলা, সিঙ্গুর এবং আরামবাগ থানা এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে সবমিলিয়ে ৪৪৯ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে আমরা মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।’