কিন্তু অভিযুক্ত ছেলেটি বার বার নিজেকে নিরপরাধ স্বীকার করায়, পুলিশ মেয়েটির জমা দেওয়া চিঠিগুলির হাতের লেখা পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করে। পরীক্ষায় দেখা যায়, অভিযোগকারিনী নাবালিকার হাতের লেখার সঙ্গে মেয়েটির হাতের লেখার মিল রয়েছে। ইতিমধ্যে ছেলেটিকে আদালতে তোলা হয়। আদালতে সে জানায়, সে একাজ করেনি। এরপর মেয়েটিকে তার বাবা-মার সামনে জেরা শুরু করে পুলিশ। পুলিশী জেরায় সে স্বীকার করে সবকটি চিঠি সে নিজেই লিখেছিল।
কিন্তু, কেন সে এভাবে একটি নিরপরাধ ছেলেকে ফাঁসাতে চেয়েছিল, যাতে ছেলেটির ভবিষ্যত নষ্ট হয়ে যায়?
এই কথার উত্তরে মেয়েটি অদ্ভুত যুক্তি দেয়। পুলিশকে সে জানায়, ছেলেটি এক সময় তার সঙ্গে ভালোভাবে মেলামেশা করত, কিন্তু, ইদানিং তাকে পছন্দ না করে ক্লাসের অন্য মেয়েদের সঙ্গে মিশতো। আর এটাই তাকে মানসিকভাবে আহত করে। তাই সে পরিকল্পনা করে, ছেলেটাকে বিপদে ফেলার। অনেক ভেবেচিন্তে সে আশ্রয় নেয় ওই ধরণের হুমকি চিঠির, যা এক নিমেষে ছেলেটির সামাজিক মর্যাদা ধুলিস্যাৎ হয় এবং জেলে যায়।
পুলিশ এই যুক্তি শুনে মেয়েটিকে সাবধান করে দেয়। এখন পুলিশের তরফ থেকে আদালতে ছেলেটির মুক্তি প্রার্থনা করা হবে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি রাজস্থানের যোধপুরের।