কোটিপতি থেকে কপর্দকশূন্য হয়ে যাওয়া ভারতীয় মহিলাকে আশা দেখালো সোস্যাল মিডিয়া

ভয়েস ৯, ইন্টারন্যাশানাল ডেস্কঃ দুবাই এর বিলাস-ব্যসনে ভরা জীবন কাটাতেই অভ্যস্ত ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা প্রিয়া। উপার্জনও করতেন কোটি কোটি টাকা। আর এই টাকা তিনি খরচও করতেন দেদার। সোজা কথায় রাজকীয় জীবন যাপন করতেন তিনি।
 কিন্তু, কাল যে রাজা, আজ কখন যে তিনি ফকির হয়ে যান, সেটা একমাত্র ঈশ্বরই বলতে পারেন। প্রিয়ার ক্ষেত্রেও তাই হলো। যাবতীয় সুখের চাবিকাঠি সে একে একে হারাতে হারাতে তার ঠাই হলো একটা গাড়িতে। নিজের কেনা একটা হুন্ডা সিটিই হলো তার বাড়ি-গাড়ি সবকিছু। জানা গেছে, বিগত ৪০ বছর ধরে দুবাইতেই তার বাস। 
প্রথমে মায়ের মৃত্যু। কিন্তু, তার বাবার মৃত্যুর পর প্রথম আঘাতটা আসে। বাবার যে ব্যবসাটা একসময় প্রচুর অর্থ দিত, সেখানেও তখন ভাটার টান। কিছুতেই আর লাভের মুখ দেখতে পারছিল না। এইরকম এক অবস্থায় পুরো জীবনটাই বদলে যায় প্রিয়ার। বিক্রি হয়ে যায় তার থাকার বাড়িটাও। অন্ন-সংস্থানের জন্য পরিচারিকার কাজ করতে হয় তাকে। আর কাজ সেরে গাড়িতে ফিরে আসা। শুদু গাড়ি আর কটা পোষ্য- এটাই চার বছর ধরে জীবনের সংগ্রাম। 
গাড়ির সঙ্গে তার মৃতা মায়ের স্মৃতি জড়িয়ে থাকায় তিনি গাড়িটি বিক্রি করতে পারেন নি। এইরকম অবস্থায় তার শেষ হয় ভিসা। ঋণ এবং চার বছর বেআইনিভাবে দুবাইয়ে থাকার জরিমানা স্বরূপ টাকার পরিমাণ পৌঁছে যায় ২৬ লক্ষে। 
সোস্যাল মিডিয়ায় তিনি তার জীবনের কথা লেখেন। বহু পাঠক তার সমব্যাথীও হন। কিন্তু, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রতিকূলতা জানতে পারেন যশবীর বস্সি। পঞ্জাবের এই তরুণী দুবাইয়ে উচ্চপদস্থ পদে কর্মরত। তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কথা বলেন প্রিয়ার সঙ্গে।
 তাঁর সব ঋণের টাকা তিনি মিটিয়ে দেন চেক মারফত। যশবীরকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রিয়া। শুধু টাকাই নয়। উচ্চশিক্ষিত প্রিয়াকে নিজের সংস্থায় চাকরিও অফার করেছেন যশবীর। দিতে চেয়েছিলেন গাড়িও। তবে সেটা নিতে রাজি হননি প্রিয়া।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad