সিঙ্গুর থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধিতে কামারকুন্ডু রেল-ব্রীজ উদবোধন করলেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়
4:50:00 PM
0
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিঙ্গুর ও কলকাতাঃ শুক্রবার সিঙ্গুর থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধিতে কামারকুন্ডু রেল-ব্রীজ উদবোধন করলেন রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি জানালেন আগামী দিনেএখানে অনেক শিল্প হবে। শিল্প ও কৃষি একইসঙ্গে এগিয়ে চলবে।
তবে, এই সেতু উদ্বোধন নিয়ে একটু বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর এই রেল সেতু উদ্বোধনের প্রকল্পের কথা জানতো না রেল। হাওড়ার ডিআরএম মনীশ জৈন হুগলি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে (ডিএম) একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন যাতে বলা হয়েছিল, যেহেতু, রেলওয়ে এবং রাজ্যের যৌথ প্রচেষ্টায় রেলওয়ে সেতুটি নির্মিত হয়েছে, তাই উদ্বোধন হবে যৌথভাবে।
জানা গেছে, বৈদ্যবাটি এবং তারকেশ্বরের মধ্যে সিঙ্গুরের কাছে একটি লেবেল ক্রসিং ছিল। ট্রেন চলাচলে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে অন্যান্য যানবাহন, পথচারীরা। তাতে প্রচুর সমস্যা হতো। সে কারণে লেবেল ক্রসিংয়ের পরিবর্তে রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। রেল ও রাজ্য যৌথভাবে এই কাজ হাতে নিয়েছিল।
কয়েক বছর আগে সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। রেলসেতুগুলিও ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়াহয়। কিন্তু কিছু জটিলতার কারণে তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় বিধায়ক বেচারাম মান্না সেতুটি আবার চালু করার দাবি জানান। সেই দাবির পর নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবার ফের উদ্বোধন করার কথা হয়। ঠিক হয় উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রেলওয়ে তা জানত না এমন অভিযোগ। বৃহস্পতিবার বিকেলে হাওড়ার ডিআরএম হুগলির জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে চিঠি পাঠান। সেতুটি পুনরায় চালুর খবর তারা জানেন না বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। কেন রাজ্যের তরফে রেলমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি? এ প্রশ্নও করা হয়েছে। এদিকে এই উদ্বোধন নিয়ে রাজ্যের বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “আজ রেলকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে রেখে উনি কামারকুন্ডু রেল-ব্রীজের উদ্বোধন করলেন, নীতিগতভাবে তিনি তা পারেন না। কারণ, এটা যৌথ উদ্যোগ।“ তিনি আরও বলেন, “আমরা বিভাজনের রাজনীতি করিনা, তবে রেলের কর্তাব্যাক্তিরা থাকলে ভালো হত।“
অন্যদিকে, সিঙ্গুরে এসে তার সিঙ্গুর আন্দোলনের দিনগুলির কথা তুলে ধরেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় কীভাবে তাকে নানা অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। এদিন, তিনি সিঙ্গুরের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে আলোকপাত করেন। তিনি জানান, এই সিঙ্গুরে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ আসবে। এখানে তৈরি হবে এ্যগ্রো ইন্ডাস্ট্রী। একসঙ্গে সবুজ শষ্য ও শিল্প এগিয়ে যাবে।
অন্যদিকে, সিপিএম নেতা সূজন চক্রবর্তী বলেন, “১২ বছরে উনি কী করেছেন? উনি আগে ঠিক করুন, ঠিক কি করবেন, কৃষি, না শিল্প, না অন্য কিছু।“
Tags