তবে, সাধারণ গৃহী ভক্তরা জানিয়েছেন, যেহেতু কোন সাধক বা মণীষীর জন্মদিন বা মৃত্যুদিন দেশের মানুষ তার সঠিক জন্মদিন বা মৃত্যুদিনেই পালন করে থাকেন, তাই এদিন অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারী দিনটিতেই তারা পালন করছেন।
উল্লেখ্য, সমাজসংষ্কারক, গবেষক তথা এক নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী ও মহন্ত ড. প্রজ্ঞাদাসজী কাঠিয়া ২০১৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী ঝাড়খন্ডের ধানবাদের কাছে গোবিন্দপুরে এক মর্মান্তিক গাড়ি দূর্ঘটনায় প্রয়াত হন। তিনি সেদিন পূর্ব বর্ধমানের অগ্রদ্বীপের নূতনগ্রাম আশ্রম থেকে বৃন্দাবন যাচ্ছিলেন। গোবিন্দপুরের কাছে একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা লাগে তার স্কর্পিও গাড়িটির। সেখানেই তিনি প্রয়াত হন। তবে, এই গাড়ি দূর্ঘটনায়, তার সঙ্গে থাকা ড্রাইভার সহ আর ৪ জনের সেরকম আঘাত লাগে নি বলে সেই সময় প্রকাশিত খবরে জানা যায়।
ড প্রজ্ঞাদাস কাঠিয়ার ভক্ত-শিষ্য ছড়িয়ে আছেন এই দেশ জুড়ে। তাদের মধ্যে অনেকেই আজ পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে বিশেষ পূজা ও তার লেখা গ্রন্থপাঠের মধ্য দিয়ে তার অমর আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। জানা যায়, ড.স্বামী প্রজ্ঞাদাসজী শুধু একজন সাধকই ছিলেন না। তিনি ছিলেন এক বাগ্মী ও লেখক। ‘গীতা চিরন্তন’, ‘জীবন পথের পাথেয়’ সহ বেশ কিছু গ্রন্থের রচয়িতা।
জানা যায়, তিনি নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের আর এক সাধক স্বামী জানকীদাসজী কাঠিয়ার কাছে সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষা নেন। কিন্তু, সন্ন্যাস নেওয়ার আগে তিনি দর্শন শাস্ত্রে এমএ ডিগ্রী লাভ করেন।
এরপর গবেষণায় ব্রতী হন এই সাধক। সমাজতত্বের একটি দূরূহ বিষয় কার্ল মার্কস এর মতবাদ ও নিম্বার্কবাদ এর উপর গবেষণা করে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তার গবেষণা গ্রন্থের নাম “A Society in the Thought of Marx and Nimbarka”
দেশের নানাপ্রান্তে ঘুরে এই মহান সন্ন্যাসী সনাতন ধর্মের বাণী প্রচার করে গেছেন। করে গেছেন, সাধারণ মানুষদের সেবামূলক কাজের মাধ্যমে ঈশ্বরসেবার কাজ। তার কাছে ছিল ‘জগৎ সত্য, ঈশ্বরও সত্য’। আর এই কথা দেশের নানাপ্রান্তে আয়োজিত নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি পৌছে দিতেন সাধারণ মানুষের কাছে।