আর তার প্রভাবে, কখনো মেরুজ্যোতি, কখনো শর্ট-ওয়েভ রেডিও বিগড়ে যাওয়া, আকাশে উড়ন্ত বিমান বা ড্রোনের আস্বাভাকিক আচরণ দেখা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই, ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) একটা সম্ভাব্য সৌর ঝড়ের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে যা ৪ মার্চ পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে।
এর মধ্যে ‘মিরর’ সংবাদপত্র শুনিয়েছে আর এক খবর। ‘মিরর’ বলছে- সূর্যপৃষ্ঠ থেকে হাজার হাজার মাইল উপরে থেকে ভেসে আসছে রহস্যময় 'হার্টবিট' সোলার ফ্লেয়ার।
নিউ জার্সি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এনজিআইটি) বিশেষজ্ঞরা সূর্যের গলিত পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩১০০ মাইল উপর থেকে আগত একটি সংকেত সনাক্ত করেছেন এবং তারা নিশ্চিত যে এটা একটি সি-ক্লাস সোলার ফ্লেয়ার দ্বারা উৎপাদিত সংকেত।
উল্লেখ্য, এর আগে, অস্থিতিশীল এআর ৩২৩৪ সানস্পটে, শক্তিশালী এম ৮.৬ শ্রেণীর সোলার ফ্লেয়ার বিস্ফোরিত হওয়ার পর দক্ষিণ আমেরিকা এবং মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বড় অংশ শর্টওয়েভ রেডিও ব্ল্যাকআউটের শিকার হয়েছিল।
ফলে, এই অঞ্চলে ড্রোন পাইলট এবং হ্যাম রেডিও অপারেটরদের উপর ব্যপক প্রভাব পড়ে।
এনওএএ তার ডিএসসিওভিআর স্যাটেলাইট ব্যবহার করে সৌর ঝড় এবং সূর্যের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে। এটা চালু হয়২০১৬ সালে।
এনওএএ বিশ্লেষকরা নির্ধারণ করেছেন একটি সি-ক্লাস সোলার ফ্লেয়ার থেকে উদ্ভুত সৌরঝড় ৪ মার্চ পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে একটি বিস্ময়কর আঘাত দিতে পারে। ওই তারিখে ক্ষুদ্র জি ১-শ্রেণীর সৌর ঝড় সম্ভব। যদিও সৌর ঝড় সামান্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে দ্রুত গতিশীল সৌর বায়ুর উপস্থিতি পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলতে পারে।
মূলত, দুটি কারণ নিয়ন্ত্রণ করে যে সৌর ঝড় পৃথিবীতে আঘাত হানবে কিনা এবং এটা কতটা তীব্র হতে পারে। প্রথমটা হ'ল সৌর উপাদানের পরিমাণ, যা কোরোনাল মাস ইজেকশন (সিএমই) নামেও পরিচিত। এটি সৌর ফ্লেয়ার অগ্ন্যুৎপাতের সময় নির্গত হয়।
পৃথিবীতে যত বেশি সিএমই আঘাত হানবে, তত বেশি তীব্র সৌর ঝড় তৈরি হবে। এই ক্ষেত্রে, আশা করা যায় যে সিএমই ক্লাউড কেবলমাত্র পৃথিবীকে ঝলকানি দেবে যার অর্থ সৌর ঝড়ের সম্পূর্ণ ক্ষতি আমাদের গ্রহে নাও অনুভূত হতে পারে।