বেশ কয়েক বছর আগে, H1N1 এর কারণে সারা দেশে একটা সমস্যা সৃষ্ট হয়েছিল। সেই ভাইরাসের স্ট্রেনটি এখন H3N2 এবং এটি একটি সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা স্ট্রেন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এটি ৩-৫ দিনের জন্য জ্বর এবং অবিরাম কাশি সৃষ্টি করে যা তিন সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এই প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় একটি গাইডলাইন এবং সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছেন। এইমসের প্রাক্তন শীর্ষ চিকিৎসক এবং বর্তমানে ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারনাল মেডিসিন, রেসপিরেটরি অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিনের চেয়ারম্যান, মেদান্তের মেডিক্যাল এডুকেশন ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, " H3N2 এক ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, যা আমরা প্রতি বছর এই সময়ে দেখি। তবে এটি এমন একটি ভাইরাস যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হতে থাকে।
একে অ্যান্টিজেনিক ড্রিফট বলা হয়। H1N1 এর কারণে আমরা অনেক বছর আগে একটি মহামারী পেয়েছিলাম। সেই ভাইরাসের স্ট্রেনটি এখন H3N2।“
ডাঃ গুলেরিয়া জানান, এই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসটি ড্রপলেটের মাধ্যমে কোভিডের মতোই ছড়িয়ে পড়ে। যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে কেবল তাদেরই সতর্ক থাকতে হবে। সতর্কতার জন্য মাস্ক পরা, ঘন ঘন হাত ধোয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা দরকার।“
দিল্লি এনসিআর ক্লিনিকগুলিতে এই ধরণের সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো উপসর্গ নিয়ে যারা আসছেন তাদের ২ জনের মধ্যে ১ জনের দেহে পাওয়া যাচ্ছে H3N2 ভাইরাস।
আইসিএমআর সম্প্রতি একটি পরামর্শ জারি করে মানুষকে এই ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাবে নিজে থেকে ওষুধ না নিতে এবং অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।
দিল্লির শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ গৌরব শর্মা বলেন যে তাঁর ক্লিনিকে আসা বেশিরভাগ রোগী কাশি, জ্বর এবং একই রকম দীর্ঘস্থায়ী লক্ষণগুলি নিয়ে আসছেন। যদি শিশুরা আক্রান্ত হয় তবে আমি স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার পাশাপাশি কাশির সিরাপ বা নেবুলাইজেশন ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি।“