রাজধানীসহ সারাদেশে তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। সকালে সূর্য উঠার পরই তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যেন আগুনের হলকা ছড়ায়। বিশেষ করে দুপুরের পর আগুনঝরা রোদের তেজে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটার প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে সব বয়সের মানুষ। তীব্র গরমের পাশাপাশি রোজার কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। হতে পারে হিট স্ট্রোক।
আবার যারা রোজা রাখছেন না, তারা বাইরের খোলা খাবার, শরবত, ঠান্ডা পানি খেয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন নানা রোগে।
চিকিৎসকরা বললেন, একদিকে গরমের তীব্রতা অন্যদিকে রোজা, তাই মানুষের শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। হতে পারে হিট স্ট্রোক। এসময় শিশু, গর্ভবতী মা ও বৃদ্ধদের ঘরে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
এসময় শিশু, গর্ভবতী মা এবং বৃদ্ধদের ঘরে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোঃ আলী আশরাফ জুয়েল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যত্র বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
গরমের এমন তীব্রতা থেকে মুক্তি পেতে দেশের মানুষকে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত ২৪শে এপ্রিল পর্যন্ত। তার পরে দেখা মিলতে পারে বৃষ্টির।