আবারো ডিম দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী খানজাহান আলী দীঘির কুমির

ভয়েস ৯,ঢাকা ব্যুরো: বাগেরহাটে হজরত খানজাহান আলীর (রহ.) মাজারের দীঘিতে থাকা মা কুমিরটি আবারো ডিম দিয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ওই দীঘির কাছে একটি বাড়িতে কুমিরটি মাটি খুড়ে ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটানোর জন্য সেগুলোতে তা দিচ্ছে। ত
বে গত বেশ কয়েক বছর ধরে কুমিরটি ডিম পাড়লেও বাচ্চা ফুটছে না। এবার ডিম ফুটে কুমিরের ছানা হবে- এমন আশা মাজারের খাদেমদের। এদিকে ২০১৫ সালে ইনকিউবেটরে রেখেও কুমিরটির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো যায়নি। দীঘিতে খানজাহান আলীর (রহ.) পালিত কুমিরের শেষ বংশধর প্রায় শতবছর বয়সী ধলাপাড় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মারা যায়। 
 গত বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীঘির কাছে বিনা ফকিরের বাড়িতে একটি কুমির চার পা দিয়ে মাটি আকড়ে রেখেছে। ওই মাটিতে গর্ত খুড়ে ডিম পেড়ে মা কুমিরটি সেগুলোতে তা দিচ্ছে। বিনা ফকির বলেন, প্রায় এক মাস আগে দীঘি থেকে ওই কুমিরটি আমার বাড়িতে এসে মাটি খুঁড়ে বেশ কয়েকটি ডিম পেড়েছে। এখন কুমিরটি বাচ্চা ফোটানোর জন্য ডিমে তা দিচ্ছে। এর আগেও আমাদের বাড়িতে কুমির মাটি খুঁড়ে ডিম পেড়েছে। কিন্তু ওই ডিম থেকে ছানা ফোটেনি।
মাজারের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির জানান, হজরত পীর খানজাহান আলী (রহ.) দীঘি খনন করে কালাপাড় ও ধলাপাড় নামের দুটি কুমির লালনপালন করেন। ওই জুটির প্রায় শতবছর বয়সী বংশধর ধলাপাড় কয়েক বছর আগে মারা যায়। তবে এখন কালাপাড় ও ধলাপাড়ের কোনো বংশধর কোথাও আছে কি না, তা তিনি জানেন না। 
মাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য ফকির মহিতুল ইসলাম সুমন বলেন, আগেই দীঘিতে পুরাতন কুমিরের সংকট ছিল। এ অবস্থায় ভারতের মাদ্রাস থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া কয়েকটি কুমির দীঘিতে অবমুক্ত করা হয়। এখন দীঘিতে ভারতীয় একটি পুরুষ এবং একটি মাদি মিলে মোট দুটি কুমির রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে ওই মাদি কুমিরটি প্রতি বছর মার্চ মাসের শেষ অথবা এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে দীঘির পাড়ে এসে ডিম পারছে।
 কিন্তু ওই ডিম থেকে একটি ছানাও ফোটেনি। এমনকি ইনকিউবিটরে রেখেও কুমিরের ডিম থেকে ছানা ফোটানো যায়নি। দীঘির ঐতিহ্য ধরে রাখতে নতুন করে মাদি ও পুরুষ প্রজাতির কুমির আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই আমরা।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad