সিএমএইচ কর্তৃপক্ষ রক্তদানে আগ্রহীদেরকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালের সিপিজি ব্লাড ব্যাংকের স্বেচ্ছাসেবক সাদ্দাম হোসেন এবং সোহেল ইব্রাহিমের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছে।ঢাকাঃ এখনো পর্যন্ত আয়ত্তে আসেনি আগুন। চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন ইউনিট যোগ দিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিট নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে বলে জানা গেছে। সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. রুবেল রানা জানান, ফায়ার সার্ভিসের কাছে রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুনের খবর দেওয়া হয়। আগুন নেভানোর জন্য একটি টিম ঘটনাস্থলে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে।
জানা গেছে, ওই ডিপোতে ৫০ হাজারের বেশি কনটেইনার রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কেমিক্যাল কনটেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন ক্রমশঃ ছড়িয়ে পড়তে থাকলে কনটেইনারগুলো একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে তিনচার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। ভেঙে পড়ে আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ। মানুষজন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে গভীর রাতেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। এদিকে,অগ্নিদগ্ধদের জরুরি চিকিৎসার জন্য করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, রাত বাড়ার সঙ্গে একের পর এক গুরুতর আহতদের আনা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আহতদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় জরুরি বিভাগে তাদের নাম তালিকাভুক্ত না করেই আঘাত অনুসারে তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।
সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানিয়েছেন, কেমিক্যালের কনটেইনার থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে একের পর এক কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় সেখানে কয়েকশ শ্রমিক কাজ করছিলেন। আহতদগ্ধ বেশিরভাগ লোককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।