ইস্ট লন্ডন, দক্ষিণ আফ্রিকাঃ দক্ষিণ
আফ্রিকার এনিওবেনি বার ট্র্যাজেডির
ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ১৭ বছর বয়সী এক তরুণ জানিয়েছে, এনিওবেনি সরাইখানায় মানুষকে বিনামূল্যে মদ এবং খাবার
দেওয়া হয়েছিল। তাই অসম্ভব ভিড় হয়েছিল। দরজা বন্ধ করেও ভিড় আটাকানো যায়নি। বাউন্সারদের সঙ্গেও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পূর্ব লন্ডনের সিনসরি পার্কের সরাইখানায় এখনো পর্যন্ত ২১ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তি মারা গেছে।
আরও ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী ভেকি সেলে এর আগে জানিয়েছিলেন যে, এই বারে সবচেয়ে কম বয়সী মৃত কিশোরের বয়স ১৩ বছর
ব্লুমফন্টেইন স্কুলের গ্রেড ১২ এর এক ছাত্রী
জানিয়েছিল, বাউন্সাররা
দরজা বন্ধ করে দেয় এবং আমরা যখন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে যাচ্ছিলাম, তখন আমরা কাঁদানে গ্যাসের গন্ধ পেতে
শুরু করলাম। ামরা ছুটতে শুরু করলাম, কিন্তু
বারে শুধুমাত্র একটি প্রবেশ / প্রস্থান। ভিড়ের চাপে আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। তবে, কয়েক ঘন্টা পরে জেগে উঠে দেখি আমি সিড়িতে পড়ে আছি। অথচ, আমি নিচেই ছিলাম। তাই আমি অনুমান করি যে কেউ আমাকে উপরের
দিকে নিয়ে গেছে।“ কিশোরীটি আরও বলেছিল যে তার বাবা-মা জানতেন না যে সে এনিওবেনিতে ছিল।
এদিকে, ন্যাশনাল লিকার ট্রেডার্স (এনএলটিএ) আহ্বায়ক লাকি নটিমানে বলেছেন, এই ঘটনার জন্য প্রতিষ্ঠানটির মালিকের ওপর দোষ চাপানো হয়েছে। সেখানে যা কিছু ঘটেছে তার জন্য আমরাও স্পষ্টভাবে সরাইখানার মালিককে দায়ী করি, কেননা, এই ঘটনা সম্পূর্ণরূপে এড়ানো যেত। এদিকে, ইস্টার্ন কেপ লিকার বোর্ড জানিয়েছে, অবিলম্বে মদের লাইসেন্স বাতিল করা এবং লাইসেন্সধারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা সহ এনোবেনি ট্যাভার্নের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পূর্ব লন্ডনের এনিওবেনি সরাইখানার মালিক, এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং বলেছে্ন যে তিনি পুলিশের সাথে সযোগিতা করছেন।