টিটিপি জঙ্গি ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময়ে দুই পুলিশ কনস্টেবল, একজন রেঞ্জার কর্মী এবং একজন বেসামরিক নাগরিকসহ আরও চারজন নিহত হওয়ার পর রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে পাঁচতলা বাড়ির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় পুলিশ। প্রায় চার ঘণ্টার দীর্ঘ অভিযান নাটকীয়ভাবে শেষ হয়। হামলার সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী অফিসের ভিতরে ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীরা ভারী অস্ত্র সজ্জিত হয়ে ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় প্রবেশ করে।
করাচির দক্ষিণ জোনের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ইরফান বালুচ সংবাদমাধ্যমকে জানান, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে করাচির সদর এলাকার কাছে করাচি পুলিশ প্রধানের কার্যালয়ে আট থেকে ১০ জন উগ্রপন্থী গুলি চালায় ও হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী, আধাসামরিক রেঞ্জার ও পুলিশের যৌথ দল ওই বাড়িটির চারটি তলা তন্ন তন্ন করে খোজ চালায় উগ্রপন্থীদের সন্ধানে। ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের সময় একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী চতুর্থ তলায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাড়িটির আংশিক ক্ষতি করে।
পুলিশ জানিয়েছে, শক্তিশালী বিস্ফোরণে আশপাশের বাড়ির জানালার কাচও ভেঙে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দলের একটি বিশাল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাটি ঘিরে ফেলে। পুলিশ শাহরাহ-ই-ফয়সালের মূল রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। কারণ ওখানেই ওই বাড়িটি অবস্থিত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, হামলার সময় বাড়ির লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। গোলাগুলির শব্দ ও একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বলা হয়, করাচি পুলিশ অফিসই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপের জন্য পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন।