আচমকাই দেখা দিচ্ছে গলা-ব্যথা। দেখা দিচ্ছে এবং চিকেন পক্সে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। বাড়ছে অ্যালার্জি। শরীরের পেশীতে ব্যথা, মাথার যন্ত্রনা। রাজ্যের নানা ল্যাবরেটরিতে রোগীদের রক্তে ধরা পড়ছে নানা ধরণের ভাইরাস।
আগে যেখানে প্রতি ১০টি নমুনার মধ্যে ১-২টিতে কোনও না কোনও ভাইরাস মিলত, এখন সেখানে ৮-৯টি নমুনাতেই ভাইরাস মিলছে। বাচ্চারা পর্যন্ত ২-৩টি ভাইরাসে একইসঙ্গে আক্রান্ত হচ্ছে। সবমিলিয়ে এক অদ্ভুত অবস্থা দেশ-বিদেশ সহ এই রাজ্যে।
আচমকাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ছোটবেলার সেই প্রায় হারিয়ে যাওয়া রোগগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। দেখা দিচ্ছে হাম, চিকেন পক্স। এসব কী কারণে? এর সঙ্গে কি কোন না কোন ভাবে কোভিডের যোগ রয়েছে? এই প্রশ্নটাই এই মুহুর্তে চিকিৎসা-বিজ্ঞানী ও ভাইরোলজিস্টদের কাছে লাখ টাকার প্রশ্ন।
এটা কি পোস্ট কোভিড কোন উপসর্গ।
এই নিয়ে স্থায়ী সমাধানে পৌছানো না গেলেও বিশেষজ্ঞদের দাবি, এগুলো পোস্ট কোভিড সিনোড্রোম। দেখা গেছে, আচমকাই মাথাচাড়া দিচ্ছে রাইনো ভাইরাস, অ্যাডেনো, সোইয়ান ফ্লু। হয়ত, শীঘ্রই আরো অনেক ভাইরাসে অস্তিত্ব ধরা পড়তে পারে। একইসঙ্গে দেখা যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভয়ঙ্কর দুর্বলতা, উঠে যাচ্ছে মাথার চুল।
চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞদের অনুমান ও আশঙ্কা, কোভিড চিরস্থায়ী ছাপ ফেলেছে প্রত্যেকের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে। সেই কারণে বিশেষ করে হার্ট এবং ফুসফুসের অসুখ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছে বাংলা ও দেশজুড়ে। কারোন, দীর্ঘ ২-৩ বছর ধরে কোভিড রাজত্ব করার ফলে, প্রায় প্রত্যেকের শরীরেই কোন না কোন উপসর্গ রেখে গেছে কোভিড।
আচমকাই দেশ জুড়ে হৃদ-যন্ত্র বন্ধ হয়ে মৃত্যু, চিকেন পক্সে মৃত্যু কীসের ইঙ্গিত, প্রশ্ন উঠছে। শুধু কি আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্যই ঘরে ঘরে এক অন্য ধরণের কাশি, অম্বল? না কি এর পিছনে সত্যি আছে কোভিড ভাইরাসের কোন মারপ্যাঁচ, তার উত্তর জানতে চাইছে বিশ্বের মানুষ।