‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’
রাজ্য সরকার আগেই স্টুডেন্ট কার্ড চালু করেছিল। এতে দেশের যে কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষার জন্য মাত্র ৪ শতাংশ হারে সুদের বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে সক্ষম। সেই ঋণ পরবর্তী ১৫ বছর ধরে শোধ করা যায়। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই ঋণের জন্য আবেদন করা যায়।
এবার আসছে ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’।
এই নয়া ক্রেডিট কার্ডের দৌলতে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী যুবক-যুবতী সংযুক্তি মূলক কর্মে ক্ষুদ্র উদ্যোগ সংস্থার স্থাপনের জন্য আর্থিক সহায়তা বাবদ ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ঋণ ব্যাঙ্ক থেকে পাবেন। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ প্রকল্প ব্যয়ের ১০% অর্থ হিসেবে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করবে এবং ১৫ শতাংশ পর্যন্ত গ্যারান্টি দেবে।
আপাতত ২ লক্ষ যুবক-যুবতীর হাতে এই ক্রেডিট কার্ড তুলে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটির ২ শতাংশ ছাড়ের মেয়াদ
বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটির ২ শতাংশ ছাড়ের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। স্ট্যাম্প ডিউটির পাশাপাশি জমি, বাড়ির বাজারমূল্যের সার্কল রেটের ১০ শতাংশ ছাড়ের মেয়াদও বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ছাড় থাকবে।
সরকারি কর্মচারির ও পেনশনভোগীরা তিন শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা
আগামী মার্চ মাস থেকেই রাজ্যের সরকারি কর্মচারিরা তিন শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। পাশাপাশি শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারিদের পাশাপাশি পেনশনভোগীদেরও তিন শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন করে তিন শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে গিয়ে রাজ্য কোষাগার থেকে বাড়তি খরচ হবে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা।
লক্ষীর ভান্ডার থেকে সরাসরি বার্ধক্য ভাতা
‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের আওতায় যে সব মহিলারা চলে এসেছেন বা আগামী দিনে আসবেন তাঁরা প্রত্যেকেই ৬০ বছর বয়স ছুঁয়ে ফেললেই প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে পাবেন বার্ধক্য ভাতা হিসাবে। এর জন্য তাঁদের আর আলাদা করে কোনও আবেদন করতে হবে না। লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রাপকরা ৬০ বছর ছুঁয়ে ফেললেই সরাসরি বার্ধক্যভাতার আওতায় চলে আসবেন।