এই দুটি হিমশৈলের একটির নাম এ৮১, যা দিল্লির চেয়েও বড় এবং অপরটি এ৭৬এ, যা আরও বড়। জানা গেছে, এ-৭৬এ নামে পরিচিত বরফের স্ল্যাবটি প্রায় ৮৪ মাইল (১৩৫ কিলোমিটার) দীর্ঘ এবং ১৬ মাইল (২৬ কিমি) প্রশস্ত।
এটি ২০২১ সালের মে মাসে অ্যান্টার্কটিকার রন আইস শেলফের পশ্চিম দিক থেকে ভেঙে যায় এবং পরে তিনটি অংশে বিভক্ত হয়: এ -৭৬ এ, এ -৭৬ বি এবং এ -৭৬ সি। বর্তমানে স্রোত ও বাতাসের কারণে ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ জর্জিয়ার দিকে এগিয়ে আসছে।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা এই দুটি হিমশৈল শীঘ্রই বন্যপ্রাণী, মৎস্য এবং জাহাজ চলাচলের বিপদের কারণ হতে পারে। তাই ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা দুটি বৃহত্তম হিমশৈলের উপর নজর রাখছেন।
গত ৩১ অক্টোবর নাসার টেরা স্যাটেলাইট দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ হর্ন এবং অ্যান্টার্কটিক উপদ্বীপের উত্তরে দক্ষিণ শেটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরকে সংযুক্ত কারী গভীর জলপথ ড্রেক প্যাসেজের মুখে ভাসমান এ-৭৬এ এর একটি ছবি তুলেছিল।
এ-৭৬এ ড্রেক প্যাসেজে কত দিন থাকবে, কোথায় শেষ হবে এবং উত্তর দিকে স্রোতের কারণে এটি কতদিন টিকে থাকবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দক্ষিণ জর্জিয়া এবং দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জসরকারের মৎস্য ও পরিবেশ বিভাগের পরিচালক ড. মার্ক বেলচিয়ারের মতে, যদিও পর্যটন মরসুম শেষ হচ্ছে, শীতের মাসগুলিতে এই হিমশৈল প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, যদি এটি শীতের মরসুমে বিভক্ত হয়ে যায় তাহলে সমস্যা কিছুটা লাঘব হবে।“