আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিটি দলের নতুন ভূমিকা কী হবে, নতুন স্লোগান কী হবে, তা নিয়ে নিশ্চয় কাটাছেড়া হবে।
এবারের, নির্বাচনে ২ টি দিক দেখা যাচ্ছে। একদিকে কংগ্রেসের উত্থান যেমন চোখে পড়ছে, তেমনি বাম-কংগ্রেস জোটের একটা পজিটিভ ফল দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত যে ফলাফল, অর্থাৎ ৫ম রাউন্ডের শেষে, তা থেকে দেখা যাচ্ছে, সংখ্যালঘু ভোটের একটা অংশ তৃণমূলকে ছেড়ে আবার বাম-কংগ্রেসের দিকে ঢলছে।
এটা, বহু বছর পর, আবার একটা নতুন ইঙ্গিত দিচ্ছে। অন্যদিকে, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, তার একটা প্রভাব পড়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
বাম-কংগ্রেসের জোট নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূল তুলছে। তারা যেখানে এককভবাএ লড়াই করছে, সেখানে কংগ্রেসকে সাহায্য নিতে হচ্ছে বামেদের। কিন্তু, এখানে আর একটা প্রশ্ন তুলে ধরছেন বিরোধীরা। তা হল, রাজ্যের শাসকদল এর আগেই বাম ও কংগ্রেস সম্পর্কে বলে দিয়েছিল, তারা শূণ্য। মানুষ তাদের পাশে নেই।
কিন্তু, এখন পর্যন্ত যে ফলাফল দেখা যাচ্ছে, তাতে, এখন বোঝা যাচ্ছে, মানুষ আবার নতুন করে ভাবছে। আর মানুষের এই নতুনভাবে ভাবাটা আতঙ্কের কারণ হতে পারে রাজ্যের শাসক দলের কাছে। একদিকে সাগরদিঘীতে বিজেপির পিছিয়ে যাওয়া, বাম-কংগ্রেসের উঠে আসা, কিন্তু অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাছে।