২০১৩ সালে মালয়েশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরে ১,০১৭.৯ গ্রাম গাঁজা পাচারের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সুপ্পিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং ২০১৮ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। বিবিসি জানিয়েছে, ডেলিভারির সময় তাকে ধরা হয়নি, তবে প্রসিকিউটররা বলেছেন যে তিনি এই ব্যাপারে জড়িত ছিলেন এবং একজন ডেলিভারিম্যানের ব্যবহৃত দুটি ফোন নম্বর সুপিয়ারের কাছে পাওয়া গিয়েছিল।
সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, মাদকের অপব্যবহার আইনে বলা হয়েছে, গাঁজার পরিমাণ ৫০০ গ্রামের বেশি হলে মৃত্যুদন্ডের বিধান রয়েছে এবং সুপ্পিয়ার কাছে যে পরিমাণ গাঁজা পাওয়া গেছে বলে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তা "এক সপ্তাহের জন্য প্রায় ১৫০ জন অপব্যবহারকারীকে খাওয়ানোর জন্য যথেষ্ট"।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সুপ্পিয়াকে দুর্বল প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে মৃত্যুদণ্ড বিরোধী কর্মীরা বলেছেন, তাকে একজন দোভাষীর ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। তার পরিবার আইনজীবী পেতে অক্ষম হওয়ায় তাকে নিজের আপিলটি নিজেকেই পেশ করতে হয়েছিল।
জবাবে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ জানায়, তিনি শুধু বিচার চলাকালেই দোভাষীর জন্য অনুরোধ করেছিলেন, এর আগে নয়।
"আমি জানি, আমার ভাই কোনো অন্যায় করেনি।
সুপ্পিয়ার বোন লীলা সুপ্পিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, "আমি আদালতকে প্রথম থেকেই তার মামলাটি দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিন্দা জানিয়ে ব্রিটিশ বিলিয়নিয়ার রিচার্ড ব্র্যানসন বলেন, সন্দেহজনক পরিস্থিতির কারণে সিঙ্গাপুর হয়তো একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করতে যাচ্ছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্র্যানসনকে বলেছে, তার মন্তব্য সিঙ্গাপুরের বিচারক ও ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার প্রতি 'অসম্মান' প্রদর্শন করে।
ছয় মাস পর সিঙ্গাপুরে প্রথমবারের মতো সুপিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। ২০২২ সালে দেশটিতে ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গত বছর সিঙ্গাপুরের আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে শানমুগাম বলেছিলেন, মাদক পাচারের জন্য মৃত্যুদণ্ডের নীতি সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের স্বার্থে।