নিয়মিত জল-সার দেওয়া, পরিষ্কার করে দেওয়া সবকিকেই তার নজর ছিল। গাছটি বেড়ে উঠতেই শুরু হল তার বিয়ে দেওয়ার কাজ। মহিলাটি অনুভব করেছিলেন যে এই পরিস্থিতিতে তার 'ছেলে' বিয়ে দেওয়ার উপযুক্ত হয়ে উঠেছিল। তাই তিনি বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। টাকার প্রয়োজন, তা সত্বো তার এই সিদ্ধান্ত থেকে তাকে কেউ টলাতে পারে নি।
রেখা দেবী জানিয়েছেন, বটগাছটির চারা অবস্থা থেকেই তিনি তাকে নিজের 'পুত্র' হিসাবে লালন-পালন করেছিলেন। ইতিমধ্যে বিবাহিত দুটি কন্যা থাকা সত্ত্বেও, তিনি তার প্রিয় গাছের জন্য বিয়ের ব্যবস্থা করেন। আর সেই পাত্রীকেও খুঁজে পেয়েছিলেন পাশেই।
স্বামীর মৃত্যুর আগে তিনি স্বামীকে কথা দিয়েছিলেন বট গাছের জন্য বিয়ের ব্যবস্থা করবেন। শেষপর্যন্ত, ব্রাম্ভন ডেকে, ধর্মীয় আচার মেনে বিবাহ সম্পন্ন হলো বটগাছের।