এই রেলপ্রকল্পটি সম্পন্ন হলে ঢাকা হয়ে আগরতলা থেকে কলকাতার দূরত্ব হবে ৫০০ কিলোমিটার এবং তখন সহজেই প্রায় ১৬ ঘণ্টায় কলকাতায় পৌঁছানো যাবে। ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেল সংযোগটি ত্রিপুরার আগরতলাকে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
বর্তমানে, ভারতীয় রেল ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার জন্য একটি 'মিশন মোড' এ কাজ করছে। প্রায় ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এবং বাংলাদেশের পক্ষে ৭৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি ত্রিপুরা সফর করেন এবং ইন্দো-বাংলা রেল সংযোগের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে ইরকন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর সঙ্গেও দেখা করেন।
আলোচনায় ধর্মনগর থেকে পেচারথাল হয়ে কৈলাশহর পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেল সংযোগের বিষয়েও আলোচনা হয়। ধর্মনগর-কৈলাশহর রেলপথের জন্য জরিপের কাজ শীঘ্রই শেষ হবে। তবে ১,৮৫৫ কোটি টাকার রেল প্রকল্পটি রেল বোর্ডের বিবেচনাধীন রয়েছে।
ভারতের দিকে ৫.৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন এবং গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন পর্যন্ত ৬.৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন নির্মাণের জন্য যথাক্রমে ডিওএনইআর মন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রকের অনুদানে নির্মাণ করা হচ্ছে। দক্ষিণ ত্রিপুরার বেলোনিয়া থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রেলসংযোগের জন্য ডিপিআর নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
জানা গেছে, এই নতুন রেল সংযোগ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য আমদানি-রফতানি সহজ হবে, ফলে এ অঞ্চলের বৈদেশিক বাণিজ্য ব্যবস্থা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে।